রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

## প্রিয় উস্তাদ

প্রিয় উস্তাদ
মুহাদ্দিসে কাবীর
হযরত নোমান আহমদ:
কিছু স্মৃতি কিছু কথা
………………………………………………………………
১৯৮৮সালের কথা ৷ আমরা হযরত শায়খুল হাদীস রহঃ এর নেতৃত্বে জামিয়া রাহমানিয়ার স্থায়ী নিজস্ব ভূমির সন্ধানে মোহাম্মদী হাউজিং থেকে সাত মসজিদ এলাকায় স্থানান্তর হই ৷ ঐতিহাসিক সাত মসজিদ লাগোয়া জমিটি জামিয়ার জন্য কেনার উদ্যোগ নেয়া হয় ৷ আর অস্থায়ীভাবে নূর হোসেন সাহেবের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এবং সাত মসজিদ সংলগ্ন টিনসেড ঘর তৈরি করে মাদরাসার কার্যক্রম চালানো হয় ৷ ঐ সময়ে আমরা নাহবেমীর জামাতে পড়ি ৷ টিনসেডের ঘরে বেড়ার পার্টিশন দিয়ে একেক জামাতের জন্য আলাদা আলাদা ঘর তৈরি করা হয় ৷ আমাদের বেড়ার অপর প্রান্তেই ছিল জালালাইন জামাতের অবস্থান ৷ জামিয়ার জন্য ত

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

## দ্বীন ও মাযহাব

মাওলানা মুহাম্মদ আমীন সফদর রহ.
মহান আল্লাহ পাকের নিকট সত্য গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম, যে ব্যক্তি ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন ধর্মকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করবে, সে ধর্ম আল্লাহ পাকের নিকট কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে আল্লাহ পাকের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হল-
شَرَعَ لَكُمْ مِّنَ الدِّیْنِ مَا وَصّٰی بِهٖ نُوْحًا وَّ الَّذِیْۤ اَوْحَیْنَاۤ اِلَیْکَ وَمَا وَصَّیْنَا بِهٖۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ مُوْسٰی وَ عِیْسٰۤی اَنْ اَقِیْمُوا الدِّیْنَ وَ لَا تَتَفَرَّقُوْا فِیْهِ کَبُرَ عَلَی الْمُشْرِکِیْنَ مَا تَدْعُوْهُمْ اِلَیْهِ ؕ اَللهُ یَجْتَبِیْۤ اِلَیْهِ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَهْدِیْۤ اِلَیْهِ مَنْ یُّنِیْبُ ﴿ ﴾ وَ مَا تَفَرَّقُوْۤا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ
অর্থ: দ্বীনের ক্ষেত্রে ঐ পথ ও পন্থাই তিনি তোমাদের জন্য স্থির করেছেন যা পালন করতে হুকুম করেছিলেন নূহকে আর যা (পালন করতে) আমি আদেশ করেছিলাম ইবরাহীমকে, মূসাকে এবং ঈসাকে এই মর্মে যে, দ্বীনকে কায়েম ও প্রতি

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

## Simple Summary of the Pillars Islam and Eemaan

Religion of Islam 
Islammeans submitting to Allaah by affirming that He is One (Tawheed) and submitting to Him by obeying Him and disavowing shirk and its people.
Allaah The Almighty says: 
{Indeed, the religion in the sight of Allaah is Islam.}[Aal-‘Imraan: 19]
He The Almighty also says: 
{And whoever desires other than Islam as religion - never will it be accepted from him, and he, in the Hereafter, will be among the losers.}[Aal-‘Imraan: 85]

# নাস্তিক্যবাদ উৎস ও সমাধান

নাস্তিক্যবাদের পরিচয়
        আজ গোটা পৃথিবী নানা সমস্যায় জর্জরিত। জ্ঞান-বিজ্ঞানের জয়জয়কার অবস্থা আর নানা আবিষ্কারের নেশায় একসময় সমগ্র মানবতা কল্পনা করেছিল যে, এবার বুঝি গোটা পৃথিবী সুখের আকাশে ডানা মেলে উড়বে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। বিশ্ব যতই বস্তুগত উন্নতির পথে অগ্রসর হয়েছে, ততই সংকট আর মুসীবতের গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে গেছে। আজ আমাদের জীবনে সম্পদের প্রাচুর্য্য এসেছে, পার্থিব বিলাস-ব্যসনের সকল উপকরণ বিদ্যমান আছে। কিন্তু নেই সুখ ও শান্তির নামের সেই সোনার হরিণ। বরং প্রতিনিয়ত  এসব সমস্যা ও সংকটের পরিমাণ বেড়েই চলছে। মানসিক চাঞ্চল্য ও অস্থিরতা চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ধরেছে। ফিতনা ও ফাসাদ আমাদের ওপর রাজত্ব কায়েম করে আছেস্বার্থপরতা আর চরিত্রহীনতার সর্বত্র জয়জয়কার অবস্থাজুলুম আর নির্যাতন নিজের সকল রূপ নিয়ে নৃত্য করছে। প্রতি মুহূর্তেই কেউ কেউ না রাজনীতির বলির পাঠা হচ্ছে। ধন-সম্পদের কারণে প্রতিদিনই মরতে হচ্ছে কাউকে না কাউকে। দুএকটি ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে গোটা পৃথিবীটাই আজ এসব সমস্যার সম্মুখীন। আফসোসের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, মানবতার পার্থিব ও বস্তুগত উন্নতি এসব সমস্যাকে আদৌ কমাতে পারেনি; বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মানুষ যতটাই বস্তুগত উন্নতি লাভ করেছে, এসব সমস্যার প্রকোপ ততটাই বেড়েছে।

# ইতিহাসে পাতায় কারবালার প্রান্তর, -


১০ই মুহাররম বা আশুরার দিন। এ দিনটি বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সেই বিভিন্ন কারণ বাদ দিয়ে যে উপলক্ষ্যে আমরা ছুটি কাটাই তা হল কারবালার ঘটনা। শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এদিন কারবালাতে মুসলিম নামধারী কিছু মুনাফিকের হাতে শহীদ হন। তিনি অত্যন্ত সৎ, সজ্জন এবং সাহসী সাহাবা ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মত তিনিও আমাদের খুব প্রিয় একজন নেতা। কিন্তু ইসলামের অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত তার মৃত্যু সম্পর্কে সত্য ইতিহাসটা আমরা জানি না, জানার চেষ্টাও করি না আসলে কি হয়েছিল।
৬০ হিজরির ঘটনা। সিরিয়ায় উপস্থিত কয়েকজন সাহাবীর সাথে পরামর্শ করে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়াকে খলিফা নিযুক্ত করেন তার বাবা মু’আবিয়া (রা: )। কেননা ইয়াজিদ ছিল খুবই তিক্ষ্ণ জ্ঞানের অধিকারী এবং তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশের উপযুক্ত। কিন্তু এটা ইসলামের মর্মের চেয়ে রাজতান্ত্রিক ধারায় বেশী প্রভাবিত ছিল। তাই তার হাতে বায়াত করেননি হুসাইন (রা: ) ইরাকের লোকেরা এ খবর পেয়ে তার কাছে চিঠি/দূত পাঠিয়ে জানাল তারা

মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

# কে এই ডাঃ জাকির নায়েক ? কি তার পরিচয় ?

ডাঃ জাকির নায়েকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ই অক্টোবর ভারতের মুম্বাই নগরীতে । খৃস্টান মিশনারীদের স্কুল সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন । অতপর হিন্দুদের কৃষ্ণচন্দ্র রাম কলেজ বোম্বাই থেকে এফ.এস.সি পাশ করেন । তারপরে বোম্বের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন।

হিন্দুদের সথে তার ঘনিস্ঠতা এতই বৃদ্ধি পায় যে, তিনি বাদশাহ আকবরের দ্বীনে ইলাহীয় মত এক ধর্মের প্রবাক্তা হয়ে তার দরস্ দেয়া শুরু করেন।

জীবনের শুরু থেকেই খৃস্টান আর হিন্দুদের সংসর্গে থাকার কারনে ডাক্তার জাকির সাহেবের চিন্তাধারা ও মন মানসিকতায় তার ছাপ সুস্পস্ট।
আর তার লেবাস-পোষাক, সুরত-আকৃতি একথার

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫

# বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর লাশ চুরি ও ইহুদী চক্রান্ত

হিজরী ৫৫৭ সালের একরাতের ঘটনা। সুলতান নূরুদ্দীন জাঙ্কি (র:) তাহাজ্জুদ ও দীর্ঘ মুনাজাতের পর ঘুমিয়ে পড়েছেন। চারিদিক নিরব নিস্তব্দ। কোথাও কোন সাড়া-শব্দ নেই। এমতাবস্থায় হঠাৎ তিনি স্বপ্নে দেখলেন স্বয়ং রাসুল (স) তার কামরায় উপস্থিত। তিনি কোন ভূমিকা ছাড়াই দু’জন নীল চক্ষু বিশিষ্ট লোকের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, (নূরুদ্দীন) মাহমূদ! (এরা আমাকে বিরক্ত করছে), এ দুজন থেকে আমাকে মুক্ত কর।
এই ভয়াবহ স্বপ্ন দেখে নূরুদ্দীন জাঙ্কি (র:) অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হ

★★★ফিৎনা বাজ নায়েক ★★★

ডাক্তার জাকির নায়েক প্রকৃত ইসলামের দাঈ নন নতুন ধর্মমতের প্রবক্তা।
**********************
সাহাবীগণের বাই‘আত প্রসঙ্গে ডাক্তার জাকির নায়েকের মতবাদ হলো--
---------------------------------------------
-----------------------------------
“ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট সাহাবীগণ যে বাই‘আত গ্রহণ করতেন--এটা বর্তমানের ভোট বা ইলেকশন (নির্বাচন পদ্ধতি)-এর প্রাচীন রূপ। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহ তা‘আলার রাসূলও ছিলেন এবং রাষ্ট্রের প্রধানও ছিলেন। তাই উক্ত বাই‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য ছিলো--তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ভোট দেয়া। ”
(দ্রষ্টব্য : ইসলাম মেঁ খাওয়াতীন কে হুকূক, পৃষ্ঠা নং ৫০/ ডা. জাকির নায়ে

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫

# দাজ্জাল কে? দাজ্জালকে আমরা চিনবো কিভাবে?

কেয়ামতের আগে দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে আল্লাহ দাজ্জালকে দিয়ে পরীক্ষা করবেন।
দাজ্জাল একজন মানুষ, যে ঈসা (আঃ) এর মতো অলৌকিক কাজ করে দেখাবে।
এই জন্য তাকে বলা হয় “মাসীহিদ-দাজ্জাল” অর্থাৎ প্রতারক বা মিথ্যা মাসীহ।
দাজ্জালের পরিচয়ঃ
দাজ্জাল একজন তরুন মানুষ যার গায়ের রঙ হবে লালচে। তার চুল হবে ঘন ও কোঁকড়ানো। তার কপাল হবে চওড়া ও বুক হবে প্রশস্ত। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তার ডান চোখ হবে কানা আর বাম

# শায়খ ডঃ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসের জীবন কথা!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা। কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আজ আমি কা’বা শরীফের প্রধান ইমাম শায়খ ডঃ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস সর্ম্পকে কিছু জানাবো আপনাদের এবং উনার তেলাওয়াত করা পবিত্র আল-কুরআন আপনাদের শোনাবো।
তো আসুন প্রথমে আব্দুর রহমান আস-সুদাইস সর্ম্পকে কিছু জেনে নেই…
সঊদি আরবের আল-ক্বাসীম এলাকার বুকাইরিয়া শহরে তার জন্ম হয় ১৩৮২ হিজরীতে। তার মানে

# কারবালার ঘটনা:

ইয়াজিদ ইসলামী শাসন ব্যবস্থার ব্যত্যয় ঘটানোয় ইমাম হুসাইন (আ.) মত ইমামের পক্ষে সেটা মেনে নেয়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। খিলাফত ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবনই ছিল ইমাম হোসাইনের (আ.) সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। মুসলিম জাহানের বিপুল মানুষের সমর্থনও ছিল তার পক্ষে। উপরন্তু কুফাবাসীগন ইয়াজিদের অপশাসনের হাত থেকে বাচার জন্যে বারংবার ইমাম হুসাইন-এর সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকলে তিনি তাতে সাড়া দেন। তিনি কুফা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কুফার অবস্থা জানার জন্যে হুসাইন (আ.) তার চাচাতো ভাই মুসলিম-বিন-আকিলকে সেখানে প্রেরণ করেন।
মুসলিম কুফাবাসীর সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে ইমাম হুসাইনকে কুফায় আসতে অনুরোধ করে পত্র লিখেন।

# ১০ই মহরম বা আশুরা কি? কেন?

আসসালামু আলাইকুম, আশুরা-১০ই মহররম আবার ফিরে এসেছে। ঐতিহাসিক আশুরা মুসলমানদের জন্য ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। খোলাফায়ে রাশেদিনের শান্তিপূর্ণ ইসলামী সমাজকে রাজতন্ত্রের কষাখাতে ক্ষত-বিক্ষত করার শোকাহত দিন ১০ই মহররম-আশুরা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর কুদরতী শক্তি দ্বারা অলৌকীক ভাবে এ বিশ্ব জগৎ ও ইহার মধ্যকার বস্তু সমূহ সৃষ্টি করেন। মানুষকে করেন সৃষ্টির সেরা জীব। অতঃপর নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজীল করে তাঁর কুদরতের নানাবিধ রহস্য প্রকাশ করেছেন। (১০ই মহররম) এমনি এক রহস্যময় ও ঘটনা বাহুল্য দিবস। সুতরাং এই দিবসটি যেমনি ইবাদতের তেমনি শিক্ষা গ্রহন করার মত তাৎপর্যপূর্ণ।

# মুত্তাকীদের চার গুণ

(লিখেছেন মাওলানা তাহমীদুল মাওলা)
সূরায়ে ক্বফের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করেছি। সে আয়াতগুলোর সূ ধরে কয়েকটি কথা বলব ইনশাআল্লাহ। কথাগুলো দ্বারা আল্লাহ তাআলা আমাকে এবং মজলিসে উপস্থিত সবাইকে ফায়দা পৌঁছান। আমীন। প্রথম আয়াতগুলো হচ্ছে :
وَ اُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِیْنَ غَیْرَ بَعِیْد هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِیْظٍ
(তরজমা) জান্নাতকে উপস্থিত করা হবে মুত্তাকীদের অদূরে। তোমাদের প্রত্যেক তওবাকারী ও সংরক্ষণকারীকে এরই প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়েছিল। -সূরা ক্বাফ (৫০) : ৩১-৩২
মুত্তাকীদের জন্য জান্নাত
হাশরের ময়দানে একটি দৃশ্যের কথা এই আয়াতগুলোতে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতকে অদূরে এনে উপস্থিত করা হবে। হাশরের ময়দান থেকে জান্নাত দেখা যাবে।

# প্রসঙ্গ কুরবানীর পশুর চর্বি বিক্রি*

চর্বি পশুর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। অনেক গৃহিনীই কুরবানীর গরুর চর্বি আগুনে জাল দিয়ে গলিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষণ করে রাখেন। পরে প্রয়োজন মত নানা খাবারে তা ব্যাবহার করে থাকেন। গরুর চর্বিতে ভাজা পরোটা যারা খাননি তারা এর কদর বুঝবেন না।
এবার আসল কথায় আসি। কুরবানী ঈদের পরে একদল সিজনাল ব্যবসায়ীর আবির্ভাব ঘটে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় এদের আনাগোনা বেশি থাকে। এরা ফেরীওয়ালদের মত হাঁক ছাড়ে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরুর গলিত বা সাধারণ চর্বি কিনে থাকে। অনেক গৃহিনীই এগুলো তাদের কছে বিক্রি করে দেন।
ফিকহে ইসলামীর আলোকে বিক্রিত চর্বির মূল্য বিক্রেতা (কুরবানীদাতা বা তার পরিবারের সদস্য) নিজে ভোগ করতে পারবেন না। পশুর চামড়া বিক্রয়ের মূল্য যেমনিভাবে সদকা করতে হয় ঠিক তেমনি চর্বির বিক্রিত মূল্যও সদকা করতে হবে। 
বিষয়টি আমাদের সমাজে খুব বেশি আলোচিত নয়। তাই ঘরের কর্তা বা গৃহিনীরা এ বিষয়ে ততটা সর্তক নন।

# যেভাবে শহীদ হন হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি.=

 সূত্রমতে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. এই দিনে শহীদ হয়ে ছিলেন। আসুন জানি তাঁর শাহাদাতের করুণ কাহিনী
হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি. তখন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলীফা। কিছু সাথী নিয়ে মদীনার একটি পথ ধরে চলছেন। পথের পাশেই একটি দোকান চোখে পড়লো তাঁর। দোকানটি অগ্নি উপাসক আবু লুলুর। খলীফা প্রবেশ করলেন দোকানটিতে। আবু লুলুকে প্রশ্ন করলেন তোমার পেশা কী? আবু লুলুর উত্তর- আমি লৌহকার এবং ছুতার। পেষণযন্ত্রও (জাঁতা) তৈরী করি আমি। আমীরুল মুমিনীন তাকে লক্ষ করে বললেন, আমি শুনেছি তুমি নাকি এ কথা বলেছ যে, আমি এমন পেষণযন্ত্র তৈরী করতে সক্ষম যা বাতাসে চলবে। এ কথা শুনে অগ্নি উপাসক বলল, আমি আপনার জন্য এমন কিছু করব যা সারা দুনিয়ার মানুষ জানবে। হযরত উমর রাযি. এবার সঙ্গীদেকে লক্ষ করে বললেন, দেখ সে কিন্তু আমার সাথে অঙ্গীকার করেছে। এ কথা বলে তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে পড়লেন।
কিছু দিন পর আবু লুলু একটি খঞ্জর তৈরী করল। সেটির হাতল ছিলো মাঝখানে, ফলা দুইপাশে। উভয় দিকে ধারালো সেই খঞ্জরটি সে পুরো এক মাস বিষের মধ্যে ডুবিয়ে রাখলো সে।

# মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

ইসলামের প্রথম মসজিদ : হিজরতকালে মদিনার কুবা পল্লীতে মহানবী (সা.) এখানে নামাজ আদায় করেন - 

আল্লাহ তার ইবাদতের জন্য মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তাদের হেদায়াতের জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুলদের প্রেরণ করেছেন। তারা দিন-রাত মানুষকে আহ্বান করেছেন আল্লাহর পথে। কিন্তু উম্মতের সব মানুষ নবীদের দাওয়াত কবুল করেনি। বরং সিংহভাগ মানুষ তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষান্ত হয়নি; বরং আল্লাহর এই প্রিয় বান্দাদের নানাভাবে অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে। তাদের ইবাদতে-দাওয়াতে বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এমনকি তাদের মাতৃভূমি থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং হত্যার যড়যন্ত্র করা হয়েছে।

‪#‎_হিজরি_সাল_শুরুর_কথা‬


দিন, মাস, বছর গণনার তাগিদে মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই বর্ষ গণনার উদ্ভব ঘটেছে। আর এ গণনার পথপরিক্রমায় মানুষ চাঁদের গতি হিসাব করেছে। যার থেকে জন্ম হয়েছে চান্দ্রবর্ষের। আবার সূর্যের গতিপথ ধরে সৌরসনের জন্ম হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'তিনিই সূর্যকে করেছেন তেজস্বী এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময়। আর চন্দ্রের জন্য নির্ধারিত করেছেন মনজিলসমূহ (কলাসমূহ), যেন তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পার।' (সূরা ইউনুস : ৫)।
প্রাচীন আরবের লোকেরা মহররম থেকে জিলহজ- এ ১২টি মাসের নাম ব্যবহার করলেও গোত্রীয় নানা প্রয়োজনে মাসগুলোকে ইচ্ছামতো আগ-পিছ করে নিত। মহান আল্লাহর কুদরতে বিদায় হজের দিন মাসগুলো যথারীতি আপন আপন জায়গায় স্থিতি লাভ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) সেদিন এরশাদ করেন, 'আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন যে বিন্যাসে আল্লাহ তায়ালা মহাকালকে বিন্যস্ত করেছিলেন আবার সে বিন্যাসেই তা ফিরে এসেছে।' (মুসলিম : ৪৪৭৭)।

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

# নারীদেরকে বলছিঃ

মুহাম্মাদ সাইদ কবির
নারীদেরকে বলছিঃ... যে সকল নির্লজ্জ, বেহায়া নারীরা বাসা থেকে বেপর্দা হয়ে, গায়ে পারফিউম মেখে বের হন, তাদের এভাবে বের হওয়ার চাইতে বাসার টয়লেট থেকে গু নিয়ে, সারা গায়ে গু মেখে বাসা থেকে বের হওয়া কটি কটি গুনে উত্তম। কারন আপনি যেহেতু পরিপূর্ণ পর্দা করবেনি না, তাই পর্দার পরিবর্তে এই পন্থা অবলম্বন করলেও হয়ত আপনি সেই কঠিন জাহান্নাম থেকে বেঁচে যেতে পারেন, যা বাঁচতে পারতেন না ঐভাবে অশ্লীল, বেপর্দা হয়ে, গায়ে পারফিউম মেখে বাসা থেকে বের হলে।
আর যে সকল মেয়েরা পর্দার নামে ফ্যাশন করছেন অর্থাৎ যারা টাইট ফিটিং বোরকা পরছেন যার ফলে আপনার পাছা, বুক বা আপনার শরীরের আকর্ষণীয় অঙ্গগুলো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে, কেউবা আবার শরীর ঢাকছেন তো মুখ খোলা রাখছেন, কেউবা আবার মুখ ঢাকছেন তো বুক খোলা রাখছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদেরকেও বলছি, দয়াকরে হয় আপনি পরিপূর্ণ পর্দায় ফিরে আসুন, আর না হয়ত আপনিও উপরে বর্ণিত ঐ "গু ফর্মুলা" ইউস করুন। কারন এসকল ফ্যাশনঅ্যাবোল পর্দাও আপনাকে ঐ কঠিন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে পারবে না।

# মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় উর্দু ফার্সি: অপাংক্তেয় না অপরিহার্য?

মুফতি মুহাম্মাদ মামুনুল হক..
কওমী মাদরাসায় পড়া-লেখার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একজন শিক্ষার্থীর যে পরিমাণ ভাষাজ্ঞান অর্জন করা চাই, সে বিষয়ে আলোকপাত করার আগে বর্তমানে মাদরাসাশিক্ষার বিরাজমান অবস্থার সামান্য বিশ্লেষণ হয়ে যাওয়া মুনাসিব মনে হচ্ছে ৷
ঐতিহ্যগতভাবে কওমী মাদরাসা শিক্ষা কারিকুলামে আমরা ভাষাশিক্ষার যা কিছু পেয়েছি তা প্রতিটি ভাষার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্লেষণে উল্লেখ করতে চাই -
আরবী:
আমরা আমাদের মেধা ও যোগ্যতার বিপর্যয়ের যুগেও কওমী মাদরাসা শিক্ষাকারিকুলামের বৈশিষ্ট যতটুকু পেয়েছি তাতে শিক্ষাজীবন শেষে আরবীভাষার উপর এতটুকু যোগ্যতা একজন শিক্ষার্থীর হতে হবে যাতে সে তিনটি কিতাব অন্তত সরাসরি আরবী থেকে কোনো অনুবাদের সহায়তা ছাড়াই বুঝতে সক্ষম হয় ৷ কিতাব তিনটি হল-
পবিত্র কুরআন শরীফ
মেশকাত শরিফ ও
কিতাবুল হেদায়াহ
এই তিনটি কিতাব বুঝতে যেই পরিমাণ নাহু,সরফ ও শব্দার্থ জানা দরকার ততটুকু প্রত্যেককেই শিখতে হবে ৷ এতটুকু আরবীভাষার যোগ্যতাকে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সর্বনিম্ন লক্ষমাত্রা বলা যেতে পারে ৷ আর এর উপরে পর্যায়ক্রমিক নিম্নোক্ত স্তরগুলো অতিক্রম করা উচ্চ লক্ষমাত্রা হিসাবে অভিহিত হতে পারে ৷ যেমন-

# মিনা ট্রাজেডি: রহস্যের জট খুলবে কি আদৌ

মুফতি মুহাম্মাদ মামুনুল হক...
১৪৩৬ হিজরীর হজ্ব এক বিষাদময় ট্রাজেডিক উপাখ্যান হয়ে রইল ৷ পবিত্র মসজিদে হারামে ক্রেন উপড়ে গিয়ে শতাধিক প্রাণহানীর পর জামারাতের পথে মিনায় পদপিষ্ট হয়ে প্রচারিত মতে প্রায় আটশত হাজি মর্মান্তিকভাবে নিহত হন ৷ অনেকের আশংকা, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা এরচেয়ে আরো অনেক বেশি ৷ দুঃখজনক বিয়োগান্তুক ঘটনাগুলোর পর স্বাভাবিকভাবেই মুসলিম বিশ্বে এক দিকে যেমন গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সেইসাথে উঠেছে সমালোচনার ঝড় ৷ চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনাও ৷ কেউ কেউ নিছক দুর্ঘটনা ও হাজিদের বিশৃংখলাকে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করলেও অনেকে এগুলোকে স্রেফ সউদি সরকারের গাফলতি ও ত্রুটির ফলাফল বলে সমালোচনা করছে ৷ কেউ কেউ আবার ঘটনাগুলোকে স্যাবোটাজ হিসাবেও আখ্যায়িত করছে ৷ ব্যপকহারে আল্লাহর নাফরমানি, সৌদি ও মুসলিমবিশ্ব জুড়ে পাপ-পঙ্কিলতার বিস্তার ও আরব শাসকদের সীমাহীন ভোগবাদিতার ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাকড়াও ও গজব হিসাবেও বিশ্লেষণ করছে অনেকে ৷

# আশুরা, মহররম ও হিজরী নতুন বর্ষের সূচনা

-- মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ
.
১৪৩৭ I একটি নতুন হিজরী বর্ষের সূচনা। শুধু কি সূচনা? না কি তা এসেছে পরিসমাপ্তির পথ বেয়ে? কাজেই এখানে বিবেচনা দু’টো বিষয়ের-অতীতের এবং আগামীর। অতীতের যে সময়টুকু আল্লাহ তাআলার মর্জি মোতাবেক অতিবাহিত হয়েছে তার জন্য শোকরগোযারী আর যা ভুল-ত্রুটি হয়েছে তা শুধরে নিয়ে আগামীকে আরও ফলপ্রসূ করে তোলার সংকল্প।
তবে এটা শুধু বর্ষকেন্দ্রিক নয়, মাস বা সপ্তাহকেন্দ্রিকও নয়। একজন মুসলিম প্রতিদিন তার কর্মের হিসাব গ্রহণ করে এবং গতদিনের চেয়ে আগামী দিনকে অধিক ফলপ্রসূ করার চেষ্টা করে। এক হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-‘... সকল মানুষ প্রত্যুষে উপনীত হয় এবং নিজের সত্তাকে বিক্রি করে-হয় আল্লাহর কাছে বিক্রিত হয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভ করে, নতুবা শয়তানের কাছে বিক্রিত হয়ে নিজেকে ধ্বংস করে।’-সহীহ মুসলিম ৩/১০০
তাই কালচক্রের অবিরাম যাত্রায় শুধু বছর নয়, মাস বা সপ্তাহও নয়, প্রতিটা দিনই মানুষের হিসাব-নিকাশের উপলক্ষ। সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেছেন, ‘যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হও তো প্রত্যুষের অপেক্ষা করো না আর প্রত্যুষে করো না সন্ধ্যার অপেক্ষা। সুস্থতার সময়ই অসুস্থতার কথা মনে রেখে কাজ কর, আর জীবন থেকেই সংগ্রহ কর মৃত্যুর পাথেয়। হে আল্লাহর দাস, তুমি জান না, আগামীকাল তোমার উপাধী কী হবে (জীবিত না মৃত)।-জামে তিরমিযী ৪/৫৬৮

# ডাক্তার জাকির নায়েক

ডাক্তার জাকির নায়েক প্রকৃত ইসলামের দাঈ নন
কাদিয়ানী-রাফেজীদের মতো নতুন ধর্মমতের প্রবক্তা
——————————————-———
---মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
----------------------------------------------------------
——————————————-————-
ডাক্তার জাকির নায়েকের নতুন ধর্মমতের থিউরি--২৬
——————————————-————-
মহিলাদের পর্দা সম্পর্কে ডাক্তার জাকির নায়েকের মতবাদ হলো--
--------------------------------------------------------------------------------
“ বেগানা পুরুষদের থেকে মহিলারা চেহারা বা মুখ ঢাকবে না। তেমনি তারা হাতের কব্জিও ঢাকবে না। পুরুষদের সামনে তাদের এ দু’টি অঙ্গ খোলা থাকবে।
/ মুসলিম মহিলাদের ছবিতে দেখা যীশুখৃস্টের মা মেরির মত পোষাক পরা উচিত। তার ছবিতে দেখা যায়, তার শরীর ঢাকা এবং তার শরীরের যে অংশটুকু আমরা দেখতে পাই, সেটা হলো তার মুখমণ্ডল আর কব্জি পর্যন্ত হাত। ”

# দিনলিপি- তাদের আকীদা!

তাদের সম্পর্কে জনমনে কতো কী ধারণা! তাদের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে কতো অবাস্তব কল্পনা। সবচেয়ে ভয়ংকর যে ধারনা প্রচলিত, তা হলো, তারা সাধারন মুসলমানকে কাফের মনে করে, তাদের জানমালকে হালাল মনে করে। তারা মানুষকে তরবারির জোরে তাদের দাওলার অধীনে যেতে বাধ্য করে। নিচে তাদের কিছু আকীদা ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতি তুলে ধরা হলো। আরও হাস্যকর ব্যাপার হলো, তারা নাকি ওলামায়ে দেওবন্দকে পেলে জবাই করবে। অথচ বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অসংখ্য হানাফী-দেওবন্দী তাদের সাথে ময়দানেই আছে। দেখা যাক তাদের বিশ্বাস-আকীদাসমূহ কী?
----
এক: তারা বিশ্বাস করে:
= যত প্রকারের শিরক আছে, শিরকের প্রকাশস্থল আছে, শিরকের মাধ্যম আছে, সেগুলো ধ্বংস করে দেয়া ওয়াজিব।
.
দুই: তারা বিশ্বাস করে:
= শী‘আ মতবাদ একটি মুশরিক ও মুরতাদ দল। তারা ইসলামের বাহ্যিক অনেক বিধান বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধক
.
তিন: তারা বিশ্বাস করে:
= জাদুকররা মুরতাদ-কাফির। তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিব। তাদেরকে পাকড়াও করার পর, দুনিয়াতে তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়।
.

# আলাপ-আলোচনা-সংলাপ: হাত বাঁধা

-হুযুর! ডা. জাকির নায়েককে একটা ছবিতে দেখলাম, তিনি এবং পিসটিভির অন্যান্য আলোচক নামায পড়ছেন। তারা হাতটাকে ছড়িয়ে দিয়ে রেখেছেন।
-তারা বুখারি শরীফের একটা হাদীস মেনে এমনটা করে থাকেন। হাদীসটা হলো
-সাহল বিন সা‘দ বর্ণনা করেছেন:
= লোকদেরকে আদেশ করা হতো, তারা যেন তাদের ডানহাতকে বাম ‘যিরা‘-এর ওপর রাখে।
-যিরা-মানে কী?
-যিরা-এর একটা অর্থ হলো:
= আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত।
-তাহলে তো হুযুর তারা ঠিক পথেই আছেন।
-বাছা, রসো! হাদীসটার দিকে খেয়াল করে, কী বলা হয়েছে? ডানহাতকে বাম যিরা-এর ওপর রাখতে।

# সৌদি আরবের বিখ্যাত তিনজন শায়খের দৃষ্টিতে মাযহাব ও তাকলীদ।

তিনজন শায়খ হলেন শায়খ আব্দুল আযিয আব্দুল্লাহ বিন বায রাহঃ, শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন রাহঃ, শায়খ সালেহ আল ফাউযান হাফিযাহুল্লাহ।
______________________________
শায়খ আব্দুল আযিয আব্দুল্লাহ বিন বায রাহঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
শায়খ বলেন -
আহকাম ও বিধানের ক্ষেত্রে এ ধরনের মাযহাবী ইখতিলাফ আমাদের দ্বিনের জন্য দোষের কিছু নয় এবং তা স্ববিরধিতাও নয়। এ ধরনের মতভেদ না হওয়া অসম্ভব। এমন কোন জাতি পাওয়া যাবে না যাদের আইন-ব্যাবস্থায় এ ধরনের ইজতিহাদী মতপার্থক্য নেই।
‘অতএব বাস্তব সত্য এই যে, এ ধরনের মতভেদ না হওয়াই অসম্ভব। কেননা একদিকে যেমন নুসূসে শরঈ অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখে অন্যদিকে শরঈ নস সম্ভাব্য সকল সমস্যাকে সুস্পষ্টভাবে বেষ্টন করতে পারে না। কারন নুসূস হল সীমাবদ্ধ আর নিত্যনতুন সমস্যার তো কোন সীমা নেই।

# পুরুষদের মাহরাম ১৪ জনঃ


A) মায়ের মত ৫ জনঃ–
(১) মা, (২) খালা, (৩) ফুফু,(৪)
শাশুড়ি, (৫)
দুধ-মা
B) বোনের মত ৫ জনঃ–
(১) বোন, (২) দাদি, (৩) নানি, (৪)
নাতনি,
(৫) দুধ-বোন
C) মেয়ের মত ৪ জনঃ–
(১) মেয়ে, (২) ভাই-এর মেয়ে,
(৩)
বোনের
মেয়ে, (৪) ছেলের বউ
মহিলাদের মাহরাম ১৪ জনঃ
A) বাবার মত ৫ জনঃ–
(১) বাবা, (২) চাচা, (৩) মামা,
(৪) শ্বশুর,
(৫) দুধ-বাপ
B) ভাই-এর মত ৫ জনঃ–
(১) ভাই, (২) দাদা, (৩) নানা, (৪)
নাতি,

# আধুনিকতা মানে কি?

মুহা: সাইদ কবির
আধুনিকতা মানে কি কোমরের নিচে
প্যান্ট পরা?

আধুনিকতা মানে কি দাড়িয়ে প্রস্রাব
করা?

আধুনিকতা মানে কি ছেলেদের বুকের
লোম বের করে সবাইকে দেখানো?

আধুনিকতা মানে কি মেয়েদের বুকের
ওড়না গলায় ঝুলানো?

আধুনিকতা মানে কি মেয়েদের সর্ট
জামা
কাপড় পরিধান করা?

# দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ

মুফতি রবিউল ইসলাম......
স্বাবাভিক লজ্জা-শরমের অনিবার্য ফল হচ্ছে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ। চোখের দৃষ্টি এমন একটি হাতিয়ার,যার দ্বারা দুনিয়ায় যেমন ভালকাজও করা যায়,তেমনি নিজের মধ্যে জমানো যায় পাপের পুঞ্জীভূত বিষবাষ্প। দৃষ্টি হচ্ছে এমন একটি তীক্ষ্ণ-শানিত তীর যা নারী বা পুরুষের অন্তর ভেদ করতে পারে। প্রেম ভালোবাসা তো এক অদৃশ্য জিনিস, যা কখনো চোখে ধরা পড়েনা, বরং চোখের দৃষ্টিতে ভর করে অপরের মর্মে গিয়ে পৌছয়। বস্তুত দৃষ্টি হচ্ছে লালসার বহ্নিরর দখিন হাওয়া। মানুষের চোখে দৃষ্টি যেমন লালসাগ্নি উৎক্ষিপ্ত করে, তেমনি তার ইন্ধন যোগায়। দৃষ্টি বিনিময় এক অলিখিত লিপিকার আদান -প্রদান,যাতে লোকদের অগোচরেই অনেক প্রতিশ্রুতি_ অনেক মর্ম কথা পরষ্পরের মনের পৃষ্ঠায় জলন্ত আখরে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। তাই দৃষ্টি নিক্ষেপণ যথা পাত্রে হওয়া একান্ত কর্তব্য।


facebook

# ভারত উপমহাদেশ স্বাধীনতায় ওলামায়ে দেওবন্দের অবদান

মাওলানা মাহমুদুল হাসান...
ভারতের যত এলাকায় ইংরেজদের বিরুদ্ধেমুক্তিযুদ্ধ চলছিল এর মধ্যে শ্যামলি নামের এক জায়গাআছে ।ঐ জায়গায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুসলমান মুক্তি বাহিনী নিয়ে যিনিমুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন তার নাম ছিল কাসেম নানুতুবি (রহঃ) ।ইনি বংশগত দিকথেকে হযরত আবু বক্বর (রাঃ) এর খান্দান ।আর এই দেওবন্দ মাদ্রাসারপ্রধান প্রতিষ্ঠাতা হলেন আল্লামা কাসেম নানুতুবি (রহঃ) ।আল্লামা কাসেম নানুতুবি (রহঃ) সহ যারা মাদ্রাসা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেনমধ্যে একজনের নাম ছিল মাওলানা রফিউদ্দীন ।মাওলানারফিউদ্দিন সপ্নে দেখেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ নামক বস্তিতে নিজের হাতের লাঠি দিয়ে একটারেখা টেনে বললেন তোমাদের পরিকল্পিত কাওমি মাদ্রাসার ঘর আমার আমার অংকিত রেখায় রেখায় নির্মাণ কর । ঘুম ভাঙার পরে বাস্তবেওদেওবন্দের মাটিতে সপ্নে দেখা নবীজির হাতের লাঠিমোবারকের রেখা পাওয়া যায় ।এই রেখায় রেখায় ১৮৬৬ সালেদারুল উলুম দেওবন্দে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়।এই জন্য দেওবন্দের আধ্যাত্বিক প্রতিষ্ঠাতা হযরতমুহাম্মদ সঃ কে বলা হয় । পরবর্তিতে চিন্তাধারা আরফিকির নিয়ে হাজার হাজার আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়িখ,